প্রোগ্রামিং শিখতে চাও ?

 



   প্রোগ্রামিং..............!!!

   প্রোগ্রামিং শিখতে চাও ?

যদি তুমি প্রোগ্রামিং শুরু করতে চাও (শুরু করে দিলেও সমস্যা নেই), তাহলে আমার দেওয়া লিস্টের কিছু কিছু জিনিস তোমার উপকারে আসতে পারে। 

সত্যি বলতে কি, প্রোগ্রামিং-এ ক্যারিয়ার আসলে এতটা সহজ ক্যারিয়ার না। প্রতি বছর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় গুলো থেকে অনেক প্রোগ্রামার বের হয়। তাই এখানে ভালো একটা প্রতিযোগিতা কাজ করে। কিন্তু তার-ই সাথে প্রোগ্রামিং খুব-ই ইন্টারেস্টিং এবং এক্সসাইটিং একটা কাজ।

আমার অনেকটা সময়ই বেঁচে যেত যদি কেউ আমাকে আগে এই জিনিস গুলো বুঝিয়ে দিতো। যাক আজকে তোমাকে এই জিনিস গুলো বলে রাখি যাতে তোমাকে আমার মত মাথা ব্যাথা নিয়ে বসে থেকে সময় নষ্ট করতে না হয়।

১. অনেকে মনে করে ভালো প্রোগ্রামার হতে হলে সিএসই ব্যাকগ্রাউন্ডের হতেই হবে। এমন কোনো কথা নেই। চেস্টা আর পরিশ্রম যে করতে পারবে, সে ভালো প্রোগ্রামার হতে পারবে। 

. প্রব্লেম সলবিং দক্ষতা বাড়াতে হবে। আর সব সময় দেখে দেখে না করে নিজে থেকে কোড করা, কোড বুঝা উচিত।

৩. সব শেখার দরকার নেই। সব প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ একটু একটু শেখার চেয়ে একটা বা দুইটা ল্যাঙ্গুয়েজ ভালো করে শেখাটা বেশি ভালো। কিন্তু একটা জিনিস মনে রেখো, তুমি কি হতে চাও বা কোন ফিল্ড এ কাজ করতে চাও এটা মাথায় রেখে শুরু করতে হবে।

৪. রোবটের মত কাজ করার প্রয়োজন নেই। প্রথমে মনে রাখো যে তুমি একজন মানুষ, তারপর একজন প্রোগ্রামার। অনেক সময় এমন হয় যে কোডিং করতে করতে তোমার সারাদিন চলে যায়। তুমি তোমার হাসি-কান্না সব ভুলে যাও। না, এমন হলে চলবে না। তোমাকে হাসতে হবে, কাঁদতে হবে (বাকি যা করতে হয় তাই আর কি)। তাহলে প্রোগ্রামার হিসেবে তোমার মধ্যে ক্রিয়েটিভিটি গড়ে উঠবে। তুমি আরো ইফেক্টিভ ভাবে কাজ করতে পারবে।

. প্রোগ্রামিং করতে হলে তোমাকে সব কিছু মুখস্থ করে রাখার কোনো দরকার নেই। ইন্টারনেট-এ তুমি অনেক রিসোর্স পাবে, যেখান থেকে তুমি তোমার কাঙ্ক্ষিত কাজের সমাধান বের করে নিতে পারবে। 

৬. নতুন নতুন প্রোগ্রামিং শুরু করলে সাথে আরেকজনকে নিয়ে শুরু করা ভালো। কেননা দুইজন যেহেতু এক সাথে শিখতেছো, সেহেতু এক জন কোনো কিছু বুঝতে সমস্যা হলে আরেকজন তা বুঝিয়ে দিতে পারবে।  চাইলে ফেসবুক থেকেও কাউকে খুজে নিতে পারো।

৭. গণিত ও বিজ্ঞানে পণ্ডিত না হলেও চলবে। সাধারণ হিসাব-নিকাশ পারলেই তুমি প্রোগ্রামিং করতে পারবে। অবশ্য কিছু কিছু ফিল্ড-এ গনিতের প্রয়োজন আছে।

৮. প্রতিদিন নতুন নতুন জিনিস শিখতে হবে। একটা দুইটা কোর্স করেই যে তুমি আরামে সারাজীবন কাজ করতে পারবে তা কিন্তু নয়। তাই তোমাকে 'মাস্টার লার্নার' হতে হবে।

৯. কোনো প্রজেক্ট শেষে বিরতি নিতে হবে। বড় কোনো প্রজেক্ট শেষে আশে-পাশে ঘুরে আসতে পারো। তাহলে পরের প্রজেক্ট এর জন্যে ভালো স্পিরিট পাবে।

১০. মাঝে মাঝে সামান্য একটা Bug খুজে বের করে ফিক্স করতে করতে তোমার সারাদিন চলে যেতে পারে। এটার জন্যে মানসিক ভাবে আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে থাকো। 

১১. কোনো সমস্যার সমাধান পাওয়ার জন্যে googling করতে অভ্যস্ত হতে হবে। অন্যকে বিরক্ত করার চেয়ে google করে খুজে নেওয়া উচিত। 

১২. প্রোগ্রামিং করতে যেয়ে অনেক প্যারা খেতে হবে। কিন্তু এর জন্যে গিভ-আপ করার চিন্তা মাথায় আনা যাবেনা। 

১৩. মাঝে মাঝে তোমাকে এমন কারো অধীনে কাজ করতে হবে যার সাথে কাজ করা তুমি পছন্দ কর না। যদি অতি প্রয়োজন হয়, তাহলে তাকে পরিবর্তন করে ফেলাই ভালো। Happiness leads to better work. 

১৪. কোডিং করার সময় গান শুনতে পারো। ভালো একটা হেডফোন কিনে নিও। এটা তোমাকে বাইরের শব্দ গুলোকে উপেক্ষা করে মনোযোগের সাথে কাজ করতে সাহায্য করবে। 

আজকের মতো এই টুকুই। কেননা অনেকেই আমার মত আইলসা। বড় লিখা দেখলে আবার পড়তে ইচ্ছে করেনা। 


No comments

Theme images by centauria. Powered by Blogger.